একদিকে যেমন সীমান্তে আমাদের ভারতীয় সৈনিকরা চিনা সৈনিকের সাথে জায়গা দখলের লরাইয়ে ব্যস্ত তখন সোশাল মিডিয়াতেও দেশের জনগন একজোট হয়ে চিনা পণ্য বয়কটের আন্দোলনে নেমেছেন। সীমান্তে যুদ্ধের যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তার ভবিষ্যৎ, শনিবার দুই দেশের সেনা প্রধান এর বৈঠকের পর পরিস্কার হবে। কিন্তু সারা দেশ জুড়ে যে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়িত করা কি আদৌ সম্ভব?
একটু ভেবে বলুন তো সারা দেশে এমন কয়টি সংস্থা আছে যারা জোর গলায় বলতে পারবে, যে তারা শুধুমাত্র ভারতীয় পণ্যই ব্যবহার করেন, আবার অনেকেই আছেন যারা জানেন না যে তার ব্যবহৃত বেশির ভাগ জিনিসই চিন থেকে আমদানি করা । অথচও তিনিই আজ হয়তো চিনা পণ্য বয়কটের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।
যে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে আমরা চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিচ্ছি সেটাও কিন্তু চিনের তৈরি। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে মাইক্রো মাক্স, এল জি, লাভা, কারবোন বা জিও এর মত মোবাইল “মেড ইন ইন্ডিয়া” নামে পরিচিতি পেলেও তার কিছু না কিছু পার্টস চিন থেকেই আমদানি হয়ে থাকে। ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের পরেই যেটার নাম আসে সেটা হল ওষুধ। জানিয়ে রাখি ২০১৪-১৫ সালে প্রায় এক হাজার চারশো ছেষট্টি কোটি টাকার ওষুধ চিন থেকে আমদানি করা হয়েছিল। তাহলে কি আমরা ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দেবো? ব্যবসায়ীদের মতে চিন থেকে যে পণ্য আমদানি করা হয় তাতে মুনাফা বেশি হয়। দীপাবলি তে চায়না বাজি থেকে চায়না লাইট আমরা সকলেই ব্যবহার করেছি। কারন আমাদের কম দামে অধিক গুন বিশিষ্ট পণ্য চিন ছাড়া আর কে দিতে পারে?
চিনের পণ্য পুরোপুরি বহিস্কার কোনোমতেই হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু আমরা কিছু ছোটো ছোটো পদক্ষেপ যেমন আমাদের স্মার্ট ফোনের কিছু অ্যাপ্লিকেশন যেগুলো না থাকলেও আমাদের কাজের কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না, এমন কিছু দৈনন্দিন পণ্য যেটা অত্যাবশ্যকীয় নয় সেগুলো ব্যবহার করা বন্ধ করতেই পারি।
আপনাদের কি মতামত আমাদের জানান নিচে কমেন্ট করে।Your email address will not be published. Required fields are marked *
boycott china...unity of india