টানা লক ডাউনএর জন্য গোটা বিশ্বের অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের মুখে। আর ভারতের কথা বলতে গেলে কয়েক মাস আগে থেকেই ভারতের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয় ছিল। তবে বলা বাহুল্য কিছুটা হলেও উর্ধমুখী করা লক্ষ্যে এগিয়ে ছিল অর্থ মন্ত্রক। কিন্তু COVID-।9 এর আগমনে সেটিও এবার বিশ বাও জলে। ধীর গতিতে হলেও আমরা কিন্তু COVID-।9 এর সংকটের এক অন্য ধাপে এগিয়ে চলেছি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নির্মলা সীতারামন এন্ড কোম্পানি ঘোষণা করলেন ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সরকার বাড়তি ৪.২ লক্ষ্য কোটি টাকা ধার করবে। যা বাজেটে স্থির করা অঙ্ক এর অর্থাৎ ৭.৮ লক্ষ্য কোটি থেকে বেড়ে ১২ লক্ষ্য কোটি তে গিয়ে দাঁড়াবে।
এখন প্রশ্ন হলো কেন সরকার এতো টাকা বাড়তি ধার করার সিদ্ধান্ত নিলো ?
প্রসঙ্গত সরকার তার আয়ের অংশ থেকে সর্বদা ব্যায় মেটাতে পারে না। তাছাড়া অর্থনীতিতে একটা বৃহৎ আর্থিক বছরের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে উদবৃত্ত তহবিল থাকাটা খুবই কম দেখা যায়। রাজস্য ঘাটতি বিস্তর্তভাবে এটাই চিত্রিত করে যে সরকার যে অর্থ ধার করেছে সেটি প্রতি বছর তার ব্যায় মেটাতে সহায়তা করবে। আর বর্তমানে ভারতে ধীর গতি সম্পন্ন অর্থনীতির অর্থই হলো রাজস্য কর হ্রাস পাওয়া। আর রাজস্য কর হ্রাস পেলেই ব্যায় মেটানোর তাগিদে অর্থমন্ত্রক বেশি করে ধার করার পথেই এগোবে এটাই স্বাভাবিক।
অর্থনীতিবিদ দেড় একাংশের দাবি চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি এর এক শতাংশ রাজস্য কর আদায় হবে। সূত্রের খবর একটানা লক ডাউন চলার ফলে চলতি অর্থ বছরে রাজস্য আয় যা ধারণা করা হয়েছিল বাজেটের সময় তার থেকে প্রায় ২ লক্ষ্য কোটি টাকা কম হবে। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান আশঙ্কা ধারণা করেছেন ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১০% জিডিপি বৃদ্ধি পাবে যেটা অনেকের মতে কাল্পনিক ছাড়া আর কিছুই নয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সরকার RBI এর সাথে পরিকল্পনা করে বাড়তি ঋণ নেওয়ার ঘোষনা করেছেন। কেন্দ্রের এই পরিকল্পনায় একমত হয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তবে অর্থমন্ত্রকের ধারণা অনুসারে রাজস্য ঘাটতির একটা বড়ো অংশ এই ৪.২ লক্ষ্য কোটি টাকা মেটাবে ঠিকই কিন্তু সরকারের বড়ো চিন্তা থাকবে বাড়তি সুদের ওপর। এখন সরকারের এই বাড়তি ঋণ নেওয়ার ফলে অর্থনীতির মেরুদন্ড কতটা উঠে দাঁড়াবে সেটা তো সময়ই বলবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *