মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে শীর্ষে পৌঁছতে পারে ভারতের করোনা সংক্রমণ। এমনটাই মনে করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা। জানুয়ারি মাসে প্রথম দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, সরকারের অভ্যন্তরীণ হিসেস থেকে জানা গিয়েছে যে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি হবে। এর পরে ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমবে বলেও আশা রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। ২৫ মার্চ প্রথম দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হয়েছে।
যে সব রাজ্য আগেভাগে লকডাউন ঘোষণা করেছে, সেখানে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে বলে কেন্দ্রের ওই মূল্যায়নে উঠে এসেছে। রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং বিহার এই ৩টি রাজ্যই প্রথম থেকে লকডাউনের পথে হেঁটে ছিল। ফলে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির তুলনায় ওই রাজ্যগুলো অনেকটাই ভাল অবস্থানে রয়েছে। দেরি করে লকডাউন ঘোষণার ফল ভুগতে হচ্ছে মহারাষ্ট্রকে। দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত এই রাজ্যেই। আক্রান্ত ৩৬৪৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১১ জনের। কোয়রান্টিন বা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। উত্তরপ্রদেশেও প্রথম দিকে আংশিক লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। সে রাজ্যে আক্রান্ত ৯৭৪ জন। মৃত ১৪। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০৮ জন। ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে।
ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধির হারকে থামাতে আরও বেশি করে করোনা টেস্ট করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট বা করোনা সংক্রান্ত অন্য কোনও লক্ষণ দেখলেই এখন আর দেরি না করে সবারই পরীক্ষা করা হচ্ছে।টেস্ট বাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে। এখন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এমন অনেকের রিপোর্ট পজিটিভ আসতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশজুড়ে র্যাপিড টেস্টের সংখ্যা বাড়ায়, দ্রুত সংক্রামিতদের খোঁজ মিলছে। চিকিত্সাও শুরু হচ্ছে সেই মতোই। তবে মে মাসে সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলেও তার পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও মনে করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *