যারা অফবিট ভ্রমণ ভালবাসেন তাদের কাছে ছুটি কাটানোর সেরা জায়গা হতে পারে মৌসুনী দ্বীপ। রয়েছে প্রচুর গাছপালা। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে রাখার মতো। দীঘা, মন্দারমনি, বকখালির পাশাপাশি সমুদ্রের পাশে নির্জনে থাকার অন্যতম সুন্দর জায়গা এটি। মৌসুনি। নামটা ঘিরেই এক অবিশ্রান্ত রোম্যান্টিকতা। আদুরে.....অথচ বড্ড একা। তবু স্বাবলম্বী। যাকে পরতে পরতে শুধু ভালোবাসতে ইচ্ছে করবে। সুন্দরবন উপকূলে এক প্রায় নির্জন দ্বীপ। এক কথায়, ভার্জিন।
মৌসুনিতে কিন্তু এখনও হোটেলের ধারণা গড়ে ওঠেনি। বছর কয়েক ধরে হচ্ছে বিচ ক্যাম্পিং। এখন পর্যন্ত তিনটি সংস্থা বিচ ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। দ্বীপের অনেক জায়গাতেই এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। যেখানে যতটুকু বিদ্যুৎ, তা সৌরশক্তির মাধ্যমে। শহরের চেনা জীবনের বাইরে এ সম্পূর্ণ অন্য এক জগৎ। প্রায় বিচের উপরেই তাঁবুতে থাকা। সঙ্গে রয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাথরুম।
কলকাতা থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরের বঙ্গোপসাগরের কোলে মৌসুনী আইল্যান্ডে পৌঁছনো যায় সহজেই। তাঁবুতে থাকার খরচ মাথাপিছু হাজার থেকে বারশো টাকা --মাটির ঘরের খরচ মাথাপিছু ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা --এই টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়ার এলাহি আয়োজন। তবে আগে থেকে বুকিং থাকলে ভাল।
দুপুরে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে মনভোলানো খাবার। সন্ধেয় চা-বিস্কুটের সঙ্গে বাঙালি জলখাবার। এমনকী জ্যোৎস্না ধোয়া রাতে ক্যাম্প ফায়ারেরও বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। সমুদ্রের গর্জনের সঙ্গে দেশি মুরগির বার-বি-কিউয়েরও আয়োজন থাকে। নিস্তব্ধ ঝাউবনে বসে সমুদ্র দেখে আনায়াসে কয়েকদিন কেটে যাবে ভ্রমণ পিপাসুদের। চাইলেই ছোট নৌকা নিয়ে ভেসেও পড়তে পারেন। বালিয়াড়া থেকেই দেখা যায় এ রাজ্যের শেষতম বিন্দু জম্বু দ্বীপকে। আর এক পাশে সাগর দ্বীপ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *