দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য হয় চীন-ভারতের মাঝে। ভারত চীনের নবম বৃহত্তম রফতানির বাজারও। তবে সেই ভারতেই এবার চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব চীনের ভেটোর মাধ্যমে আটকে যায়। জম্মু-কাশ্মীরের পুলাওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার জন্য জইশ-ই-মুহাম্মদকে দায়ী করে ভারত। এর আগে ভারতের প্রচেষ্টায় আরো তিনবার মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তিনবারই চীনের ভেটোতে তা আটকে যায়। পাকিস্তানকে ক্রমাগত ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার , ডোকালাম সহ ভারতের কাশ্মীর থেকে অরুণাচল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা নিয়ে চীনের আগ্রাসন নীতি আর সহ্য করবে না ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যম, টুইটার, ফেসবুক সব জায়গাতেই চীনা দ্রব্য বর্জন নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
ইন্দো-চীন একচুয়াল লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর চীনা আগ্রাসন নিয়ে এবার মুখ খুললেন সোনম ওয়াঙচুক (Sonam Wangchuk)। ম্যাগসেসাই পুরস্কার জয়ী শিক্ষাবিদ সোনমের কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছিল, আমির খান অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা "থ্রি ইডিয়টস" (3 Idiots)। বাস্তবে সেই ছবির নায়ক এই সোনম ওয়াঙচুক। গত শুক্রবার সসোনম ওয়াঙচুক তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে তিনি কড়া ভাষায় চীনা আগ্রাসনের সমালোচনা করেন, পাশাপাশি প্রত্যেক ভারতীয়কে অবিলম্বে চীনা দ্রব্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন,
সীমান্তে ভারতীয় সেনা বুলেট দিয়ে জবাব দেবে আর ভারতীয় নাগরিকরা ওয়ালেট দিয়ে জবাব দেবে। আমাদের অবিলম্বে উচিত চিনা পণ্য বর্জন করা। প্রতি বছর ভারত চিনের ৫ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য ক্রয় করে। সেই টাকা সামরিক খাতে বরাদ্দ করে চিন। আমরা, ভারতীয়রা সেই পণ্য কেনা বন্ধ করলে, লোকসানের মুখে পড়বে চিনা রফতানি। আর্থিক মন্দার চাপে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনায় রাজি হবে তারা।
তাঁর অভিযোগ, "এমন আগ্রাসন নীতি চিন শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রুনেই, ফিলিপিনস, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান আর হংকংয়ের মতো দেশও চিনের উপদ্রবে বিরক্ত।" তিনি এও বলেছেন," অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো থেকে নজর ঘোরাতে এভাবে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো উসকে দেয় চিন।" চিন সরকার তাদের নাগরিককে ভয় পায়। সে দেশে শ্রমিক অধিকার ছাড়াই কাজ করানো হয়। এক অংশ বিত্তবান হয় আর এক অংশ দরিদ্র হয়। ফলে মানুষের মনে চাপা অসন্তোষ। ১৪০ কোটির জনসংখ্যা নিয়ে চিন এমনিতেই নাস্তানাবুদ। তাই নাগরিক বিদ্রোহের আঁচ থেকে বাঁচতে এসব করে নজর ঘোরাতে চায়।"
চীনে করোনা সংক্রমণ, লকডাউন, বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার পাততাড়ি গুটিয়ে অন্য দেশে চলে যাওয়া, পাশ্চাত্য দেশগুলির চাপ, বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ। ফলে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। তাই যেকোনো সময় গণ-অভ্যুত্থানের আশঙ্কা রয়েছে চীনা সরকারের মধ্যে। তাই সেই গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা দূর করতে জনগণকে একজোট করতে ভারত সীমান্ত আগ্রাসন শুরু করেছে চীন।
আমরা ভারতীয়রা একদিকে চিনা পণ্য কিনব, আর তাতে চীন লাভবান হয়ে সেই টাকায় তাদের সৈন্য বাহিনী বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র কিনবে আমাদের ভারতীয় সৈন্য কে আক্রমণ করার জন্য। তাই এই দুই একসঙ্গে চলতে পারে না। আসুন অবিলম্বে আমরা চীনা পণ্য বয়কট শুরু করি। এমনকি চিনা অ্যাপস যেমন ইউসি ব্রাউজার, ইউসি নিউজ, শেয়ার চ্যাট, উইচ্যাট, টিকটক, পাবজি গেম, ইত্যাদিও আনইন্সটল করি। কারণ চাইনিজ ডিভাইস এবং অ্যাপস এর মাধ্যমে ভারতীয় দের গোপন তথ্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বেজিংয়ের হাতে চলে যাচ্ছে। আমাদের এই ছোট্ট প্রদক্ষেপ আমাদের দেশ ভারত বর্ষকে সাহায্য করবে।
USE YOUR WALLET POWER#BoycottMadeInChina #SoftwareInAWeekHardwareInAYear to stop Chinese bullying in Ladakh & eventually to liberate the 1.4 Bn bonded labourers in China, as also the 10 Mn Uighur Muslims & 6 Mn Tibetan Buddhists.
— Sonam Wangchuk (@Wangchuk66) May 28, 2020
Click this link to playhttps://t.co/ICjRQJ2Umf pic.twitter.com/lpzAXxARPj
Your email address will not be published. Required fields are marked *
boycottchina