রীতিমতো যুগান্তকারী এক প্রস্তাবের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army)। প্রয়োজনে ৩ বছরের মেয়াদে (Indian Army 3 Year Tenure For Civilians) ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে পারবেন দেশের উদ্যমী তরুণরা, তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হোক, এমনই একটি প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানা গেছে। জানা গিয়েছে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ু সেনার প্রধানরা বিস্তর আলোচনা করছেন। তবে প্রস্তাব অনুমোদিত হলে গোটা বিষয়টিই পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে আগে দেখা হবে, তারপর এনিয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো যে সমস্ত সাধারণ নাগরিক সেনায় কাজ করার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান তাঁদের একটা সুযোগ দেওয়া। দেশের সাধারণ মানুষদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেমকে জাগ্রত করা। সেই সঙ্গে দেশের প্রায় ১৩ লক্ষ সেনার জীবনযাপন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করা। পাশাপাশি, সেনায় যোগ দেওয়ার কারণে নাগরিক সমাজও আরও বেশি করে সুশিক্ষিত ও শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যক্তি পাবে। তবে শুধু সাধারণ মানুষেরাই নন, আধাসেনা ও কেন্দ্রবাহিনী থেকেও কর্মীদের ভারতীয় সেনায় যুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। সেক্ষেত্রে তারা সাত বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পর পুনরায় নিজের জায়গায় ফিরে যাবেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা, চাপ সামলানোর মতো অনেক গুণ গড়ে উঠবে। সমীক্ষা করে দেখা গেছে, "একজন ২২/২৩ বছরের সাধারণ স্নাতকের তুলনায় মিলিটারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৬/২৭ বছরের ব্যক্তিকে চাকরিতে নিয়োগ করতে পছন্দ করেন কর্পোরেটরা"। যে কারণে বড় বড় সংস্থাগুলি তাদের কাজে যোগ দেওয়ার পথ খুলে দেবে।
যদিও এই নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আমান আনন্দকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এই প্রস্তাব যদি অনুমোদন করা হয় তবে এই নিয়োগ পুরোপুরিই ঐচ্ছিক পর্যায়েই থাকবে। কিন্তু যাঁদের নিয়োগ করা হবে তাঁদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট মানদণ্ডে কোনও কমতি থাকবে না। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে ১০০ জন সেনা আধিকারিক এবং এক হাজার পুরুষ জওয়ান পদে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে"।
সেনা সূত্রে খবর, এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভারতীয় সেনা আর্থিকভাবেও লাভবান হবে। কারণ বর্তমানে ১০ থেকে ১৪ বছরের জন্য জওয়ানদের ভর্তি করা হয় সেনায়। কিন্তু তিন বছরের জন্য কাউকে ভর্তি করা মানে তার কাজের সময় অনেকটা কম। ফলে গ্রাচুইটি, পেনশন ও অন্যান্য প্যাকেজ তিনি পাবেন না। তার জন্য অনেক কম খরচ হবে সেনাবাহিনীর।
There is a "resurgence of nationalism and patriotism" and the proposal attempts to tap into the feeling of the youths who do not want to join the Army as a profession but wish to experience the military life for a temporary duration, a source said.https://t.co/pZUl3oiX4D
— The Telegraph (@ttindia) May 14, 2020
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Hallo sar ami joyet korte chai
Good D.......