দীর্ঘ স্নায়ুর লড়াই! কখনও এগিয়ে থাকা তো আবার কখনও পিছয়ে পড়া। অবশেষে আমেরিকার রাষ্ট্রপতির কুর্সি দখল করলেন জো বাইডেন।। শুধু তাই নয়, আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। যা আমেরিকার সমস্ত ইতিহাসকে বদলে দিয়েছে। আমেরিকার ' দ্য অ্যাসোসিয়েট প্রেস ' এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী মার্কিন রাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন। ৪৬তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে গত শুক্রবার থেকেই এগিয়ে ছিলেন জো। হোয়াইট হাউজের পরবর্তী পাঁচ বছরের দাবিদার এর জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে তাঁকে জিততে হতো ২৭০টি আসন। সেখানে ২৮৪ আসনে জয়ী হয়েছেন বাইডেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি আসন। জয় একপ্রকার নিশ্চিত হতেই দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। তিনি বলেন,'লাল রাজ্য অথবা নীল রাজ্য নয়। আমি দেখছি শুধুমাত্র এক ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আমি কাজ করবো !' প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন জো বাইডেন। তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, যিনি আমেরিকার কোনও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এত সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার সময়কালে ২০০৯-২০১৭ পর্যন্ত আমেরিকার উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজের দায়িত্ব সামলেছেন জো বাইডেন।
বিজয়ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘সমস্ত আফ্রিকান আমেরিকান যাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি যেমন আপনাদের পাশে পেয়েছি, তেমনই আপনারাও আমাকে পাশে পাবেন।’
জো বাইডেন ভারতের পক্ষে? ভারতের জন্য ভাল?
এই মুহুর্তে এই প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে সব ভারতীয়। এখনও পর্যন্ত যা ইতিহাস, অতীতের রেকর্ড, বিবৃতি বলছে যা হবে ভালই হবে। বারাক ওবামার সময়কালে ভারতের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক কিংবা কূটনৈতিকগত ভাবে সম্পর্ক গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি বাইডেন। ২০০৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মার্কিন-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে তিনি বলেন, “আমার স্বপ্ন যে, ২০২০ সালে বিশ্বের দুটি নিকটতম দেশ হবে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।” ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তি অনুমোদনের নেপথ্যেও ছিলেন বাইডেন।
চিনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন কী দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে পারে?
গত কয়েক বছর ধরে চিনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে ডেমোক্র্যাটস এবং রিপাবলিকানদের প্রায় একই সুর। ভারত সীমান্তে চিনের হামলা নিয়ে গত ছয় মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সমর্থনে চূড়ান্তভাবে সোচ্চার হয়েছে। নয়াদিল্লিও বাইডন প্রশাসনের কাছ থেকে একই ধরণের প্রত্যাশা করবে তা বলাই বাহুল্য। বাইডেন এই একই পথ অবলম্বন করবেন কি না তা সময়ই বলবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *