বঙ্গোপসাগরের উপকূল জুড়ে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি করল আইএমডি বা ইন্ডিয়ান মেট্রোলজ্যিকাল ডিপার্টমেন্ট। সতর্কতায় বলা হয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, সময় এবং ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে কোনো ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে ওই অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা খুবই উষ্ণ। এর ফলেই আম্পান একটি শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আঘাত হানতে পারে এই ঝড়।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক এবং বালাসোর সহ মোট ১২টি উপকূলীয় জেলায় বিশেষ আম্ফান অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাধারন মানুষের জন্য জেলা কালেক্টরকে বিকল্প আশ্রয় তৈরি রাখতে বলা হয়েছে ।
অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করবে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে।
মৌসম ভবনের প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাগুলিতে ১৯ মে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি ও ২০ মে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে বয়ে যেতে পারে দমকা হাওয়া।
হাওয়া অফিসের থেকে মৎসজীবীদের ১৫ মে থেকেই সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। এই তিন এলাকার যে সব মৎসজীবী সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের অনতিবিলম্বে শনিবারের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা সামুদ্রিক অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছে, রাজ্য প্রশাসন এবং মৎস্য দফতরের সাথে সমন্বয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার সামুদ্রিক উপকূলবর্তী এলাকায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টার জন্য তৈরি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *