আপনি চটজলদি আপনার কাছাকাছি দোকানে যান এবং নিম্নলিখিত খাদ্যদ্রব্য গুলি সঞ্চয় করুন যেগুলি খুবই সহজলভ্য :-
১. সাইট্রাস ফল : প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি' থাকে। বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন যে এই লেবু জাতীয় টক ফল গুলি শীতকালে খেতে হয়। না, এইগুলি আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম কে প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে তোলে রক্তের শ্বেত কণিকা বৃদ্ধি ঘটায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এই ফল গুলির মধ্যে আঙ্গুর,স্ট্রবেরি, কমলালেবু, পাতিলেবু ,হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম ইত্যাদি।
২. কাঁচা হলুদ : দৈনিক এক চামচ করে কাঁচা হলুদের রস দিনে একবার হলেও এক থেকে দু গ্লাস দুধে মিশিয়ে খান। কাঁচা হলুদে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল রিএজেন্ট। এটি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, এটি মানুষের হাড়কেও শক্ত করতে সাহায্য করে।
৩. রসুন : একটি সহজলভ্য খাবার, যেটি পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। রসুন মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
৪. আদা : আদা বহু প্রাচীনকাল থেকেই মহৌষধি নামে খ্যাত। বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। যে কোন খাবারের সঙ্গে দিয়েই খাওয়া যায়। আদা মানুষের শরীরে ফুসফুস পরিষ্কার রাখে, শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে।
৫. তুলসী পাতা : প্রত্যেকদিন দু-চারটি তুলসী পাতা এক চামচ মধু দিয়ে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খাওয়া উচিত। তুলসী পাতার রস সর্দি-কাশি জনিত সমস্যা থেকে মানুষের শরীরকে মুক্ত করে।
৬. শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি প্রত্যেক দিনের মধ্যাহ্নভোজে রাখা উচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যেগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যেমন ব্রকলি, লেটুস শাক, কুমড়ো শাক. বেগুন, নটে শাক ইত্যাদি।
৭. টক দই : টক দই নিয়ে বিশেষ বলার কিছুই নেই। টকদই মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের নলেজ ফোরকাস্ট ব্লগে আগেই টক-দইয়ের-উপকারিতা নিয়ে বলা হয়েছে। টক দই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।
৮. কম প্রোটিন যুক্ত খাবার : প্রত্যেকদিন খাবারে কম প্রোটিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখা উচিত। বেশি প্রোটিন যুক্ত খাবার কখনোই শরীরের পক্ষে ভালো না। কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে বাদাম, আখরোট,গাজর,পালস ইত্যাদি।
৯. পেপে : পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দরকারী খনিজ থাকে। ফলিক অ্যাসিড,পটাসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে পেঁপের মধ্যে থাকে। ভিটামিন সি যা রক্তে শ্বেত কণিকা বৃদ্ধি ঘটিয়ে জীবাণুর সাথে লড়াই করতে পারে।
১০. আমন্ড : আমন্ড একটি বাদাম। এর মধ্যে ভিটামিন ই ,ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ভিটামিন ই ভিটামিন ফ্যাট বা চর্বিতে দ্রবীভূত হতে পারে, তাই এটি মেদ কমানোর জন্য বিশেষ উপকারী।
১১. গ্রিন টি : গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি দুটোতেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, দুটোই শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গ্রিন টির মধ্যে ইজিসিজি নামে একটা পাওয়ারফুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। গ্রিন টির মধ্যে L-theanine নামে একটি অ্যামাইনো এসিড থাকে, যা শরীরের T-cell উৎপন্ন করে। যেটি জীবাণুর সাথে লড়াই করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১২. শরীরচর্চা : শরীর চর্চার মধ্যে অবশ্যই কয়েকটি প্রাণায়াম প্রত্যেকদিন অভ্যাস করুন এবং এর সাথে সাথে কিছু কার্ডিয়াক ওয়ার্কআউট করুন। তাতে শরীরের হার্ট এবং পেট দুটোই সুস্থ থাকবে।
১৩. ঘুম : শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অসীম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দৈনিক 7-8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত। তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *