সরকারি ঘোষণা এখনও হয়নি। অথচ ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 'প্রয়াণ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা 'প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো! রবিবার পিআইবি-র ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকীতে স্মরণ করছে পিআইবি।'
১৯৪১ সালের ১৬ জানুয়ারি রাত দেড়টা নাগাদ জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা অডি-র ওয়ান্ডারার ডব্লু ২৪ গাড়ি চড়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৫ সালে আজ সেই দিন,অভিশপ্ত ১৮ ই আগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু বিমাবন্দরে বিমানে ওঠার আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল ভাগ্যবিধাতা ভারতের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। বিমানের সিঁড়িতে সামরিক পোশাক পরে দৃপ্ত পদচারন। তারপর, তারপর, তারপর...... নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের প্রায় সাড়ে সাত দশক পেরিয়ে গেলেও রহস্য অধরাই। কিন্তু নিখোঁজ রহস্য থেকে গিয়েছে সাধারণের চোখের আড়ালেই। উত্তর আসেনি, কেউ উত্তর দেয়নি। নয়ের দশক অবধি বাঙালি বিশ্বাস করে এসেছে নেতাজি ফিরবেন, ফিরবেনই। দেশভাগ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতি একের পর আঘাত করেছে জাতিকে। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের ‘গুমনামী বাবা’-র আড়ালে আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসই, এমন গুঞ্জন তো আছেই৷ এই বিশ্বাস আঁকড়ে এখনও অনেকে আছেন৷ তিনি ফিরবেন, আর তারপরেই সব ভণ্ড, দুর্নীতিবাজ, স্বার্থপর নেতাদের ফুৎকারে উড়িয়ে ধরবেন দেশের হাল। সে এক নতুন ভারত, নেতাজির ভারত।
সে আশা পূর্ন হয় নি। মনে পড়ছে মায়ের মুখে শোনা উদ্বাস্তু পাড়ায় এক পাগলের কথা। গৃহহীন, খাদ্যহীন, ছেঁড়া পোশাকের লোকটা সারাদিন একটা লাঠি নিয়ে হুঙ্কার দিতো, আসছে নেতাজি আসছে, সব সিধে করে দেবে। খ্যাপা খুঁজে ফেরে পরশপাথর। কতো কতো মানুষ আমৃত্যু লালন করেছেন সেই স্বপ্ন, নেতাজি আসবেন। খবর এসেছে অনেক, কখনও ভিয়েতনামের স্বাধীনতা যুদ্ধে, কখনও সাইবেরিয়ার শীতল প্রান্তরে, দেখা দিয়েছেন যুব সমাজের প্রতীক। নতুন আশায় আবার বুক বেঁধেছে ভারতবাসী। এইবার এইবার আসবেন তিনি। কিন্তু স্বদেশে ফেরা হয়নি তাঁর।
সরকারি ঘোষণা এখনও হয়নি। অথচ ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 'প্রয়াণ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা 'প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো! রবিবার পিআইবি-র ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকীতে স্মরণ করছে পিআইবি।'
১৯৪১ সালের ১৬ জানুয়ারি রাত দেড়টা নাগাদ জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা অডি-র ওয়ান্ডারার ডব্লু ২৪ গাড়ি চড়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৫ সালে আজ সেই দিন,অভিশপ্ত ১৮ ই আগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু বিমাবন্দরে বিমানে ওঠার আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল ভাগ্যবিধাতা ভারতের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। বিমানের সিঁড়িতে সামরিক পোশাক পরে দৃপ্ত পদচারন। তারপর, তারপর, তারপর...... নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের প্রায় সাড়ে সাত দশক পেরিয়ে গেলেও রহস্য অধরাই। কিন্তু নিখোঁজ রহস্য থেকে গিয়েছে সাধারণের চোখের আড়ালেই। উত্তর আসেনি, কেউ উত্তর দেয়নি। নয়ের দশক অবধি বাঙালি বিশ্বাস করে এসেছে নেতাজি ফিরবেন, ফিরবেনই। দেশভাগ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতি একের পর আঘাত করেছে জাতিকে। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের ‘গুমনামী বাবা’-র আড়ালে আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসই, এমন গুঞ্জন তো আছেই৷ এই বিশ্বাস আঁকড়ে এখনও অনেকে আছেন৷ তিনি ফিরবেন, আর তারপরেই সব ভণ্ড, দুর্নীতিবাজ, স্বার্থপর নেতাদের ফুৎকারে উড়িয়ে ধরবেন দেশের হাল। সে এক নতুন ভারত, নেতাজির ভারত।
সে আশা পূর্ন হয় নি। মনে পড়ছে মায়ের মুখে শোনা উদ্বাস্তু পাড়ায় এক পাগলের কথা। গৃহহীন, খাদ্যহীন, ছেঁড়া পোশাকের লোকটা সারাদিন একটা লাঠি নিয়ে হুঙ্কার দিতো, আসছে নেতাজি আসছে, সব সিধে করে দেবে। খ্যাপা খুঁজে ফেরে পরশপাথর। কতো কতো মানুষ আমৃত্যু লালন করেছেন সেই স্বপ্ন, নেতাজি আসবেন। খবর এসেছে অনেক, কখনও ভিয়েতনামের স্বাধীনতা যুদ্ধে, কখনও সাইবেরিয়ার শীতল প্রান্তরে, দেখা দিয়েছেন যুব সমাজের প্রতীক। নতুন আশায় আবার বুক বেঁধেছে ভারতবাসী। এইবার এইবার আসবেন তিনি। কিন্তু স্বদেশে ফেরা হয়নি তাঁর।
সরকারি ঘোষণা এখনও হয়নি। অথচ ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 'প্রয়াণ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা 'প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো! রবিবার পিআইবি-র ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকীতে স্মরণ করছে পিআইবি।'
১৯৪১ সালের ১৬ জানুয়ারি রাত দেড়টা নাগাদ জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা অডি-র ওয়ান্ডারার ডব্লু ২৪ গাড়ি চড়ে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৫ সালে আজ সেই দিন,অভিশপ্ত ১৮ ই আগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু বিমাবন্দরে বিমানে ওঠার আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল ভাগ্যবিধাতা ভারতের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। বিমানের সিঁড়িতে সামরিক পোশাক পরে দৃপ্ত পদচারন। তারপর, তারপর, তারপর...... নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের প্রায় সাড়ে সাত দশক পেরিয়ে গেলেও রহস্য অধরাই। কিন্তু নিখোঁজ রহস্য থেকে গিয়েছে সাধারণের চোখের আড়ালেই। উত্তর আসেনি, কেউ উত্তর দেয়নি। নয়ের দশক অবধি বাঙালি বিশ্বাস করে এসেছে নেতাজি ফিরবেন, ফিরবেনই। দেশভাগ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতি একের পর আঘাত করেছে জাতিকে। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের ‘গুমনামী বাবা’-র আড়ালে আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসই, এমন গুঞ্জন তো আছেই৷ এই বিশ্বাস আঁকড়ে এখনও অনেকে আছেন৷ তিনি ফিরবেন, আর তারপরেই সব ভণ্ড, দুর্নীতিবাজ, স্বার্থপর নেতাদের ফুৎকারে উড়িয়ে ধরবেন দেশের হাল। সে এক নতুন ভারত, নেতাজির ভারত।
সে আশা পূর্ন হয় নি। মনে পড়ছে মায়ের মুখে শোনা উদ্বাস্তু পাড়ায় এক পাগলের কথা। গৃহহীন, খাদ্যহীন, ছেঁড়া পোশাকের লোকটা সারাদিন একটা লাঠি নিয়ে হুঙ্কার দিতো, আসছে নেতাজি আসছে, সব সিধে করে দেবে। খ্যাপা খুঁজে ফেরে পরশপাথর। কতো কতো মানুষ আমৃত্যু লালন করেছেন সেই স্বপ্ন, নেতাজি আসবেন। খবর এসেছে অনেক, কখনও ভিয়েতনামের স্বাধীনতা যুদ্ধে, কখনও সাইবেরিয়ার শীতল প্রান্তরে, দেখা দিয়েছেন যুব সমাজের প্রতীক। নতুন আশায় আবার বুক বেঁধেছে ভারতবাসী। এইবার এইবার আসবেন তিনি। কিন্তু স্বদেশে ফেরা হয়নি তাঁর।
যে মহান মানুষটা দেশের জন্য কলেজ ছাড়লেন, লোভনীয় UPSC চাকরি ছাড়লেন, কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়লেন, শান্তির জীবন ছাড়লেন, ঘর ছাড়লেন, অবশেষে দেশ ছাড়লেন,সেই দেশ তাঁকে দিলো না কিছুই। গনতান্ত্রিক পথে সভাপতি নির্বাচিত হবার পর কংগ্রেসের কাণ্ডারিরা মানতে পারেননি তাঁর এই জয়। অসহযোগিতায়, ধিক্কারে, হতাশায় সরে গেছেন তিনি। তাঁর সাম্রাজ্যবাদের লড়াই নিন্দিত হয়েছিলো গান্ধিজির দ্বারা। তিনি দেশের বাইরে গিয়ে লড়াই চালিয়েছেন। বারবার আবেদন জানিয়েছেন দেশের ভিতর আন্দোলন গড়ে তুলতে,জনগন প্রস্তুত ছিল, কিন্তু নেতারা কেউ সাড়া দেয়নি। কংগ্রেস ব্যস্ত ছিল আপোষ আলোচনায়, হিন্দু মহাসভা ব্যস্ত ছিল হিন্দুদের নিয়ে, মুসলিম লিগ পাকিস্তানের দাবী নিয়ে,আর কমিউনিস্টরা রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে আক্রমনে ব্যস্ত ছিল ভারতের জাতীয় নায়ককে।
আজ তাঁকে নিয়ে টানাটানি। সবাই চায় তিনি তাদের দলের কতো কাছের তা প্রমান করতে। কিন্তু ইতিহাস মোছা যায় না। মোছা যায় না, স্বাধীনতার পরেও দীর্ঘদিন যুদ্ধাপরাধী দলে তাঁর নাম থাকার গ্লানি। মোছা যায় না,সেনার সরকারী প্রতিষ্ঠানে তাঁর ছবি না রাখার নেহেরু সরকারের নির্দেশ।(In a confidential memo dated February 11, 1949, under the signature of Major General P N Khandoori, Indian government)। সরকারী চাকরি বা সেনাবাহিনীর দরজা আজাদি সেনাদের জন্য বন্ধ করে দেবার নির্দেশ (Shailesh Dey এর আমি সুভাষ বলছি)। মোছা যায় না কমিউনিস্টদের পিপলস ওয়ার পত্রিকায় প্রকাশিত নেতাজিকে নিয়ে প্রকাশিত কার্টুনগুলি। মোছা যায় না তাঁর অন্তর্ধান নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করার গ্লানি। মোছা যায় না,নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশের অক্ষমতার লজ্জা।
ভালোই হয়েছে। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি হয়ে যান নি। দেশের সম্পদ হিসাবেই রয়ে গেছেন জনতার হৃদয়ে। তিনি মন্ত্রী হননি, সম্রাট হিসাবে রয়েছেন তাঁর স্বপ্নের ভারতবর্ষের মননে। আজ তাঁর হারিয়ে যাবার দিন। অভিশপ্ত ১৮ই আগস্ট।
কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবীর সেই কালজয়ী কথা বোধহয় রাসবিহারী বসুর মতো তাঁকেও নির্দেশ করেই লেখা হয়েছিল,
-“তুমি দেশের জন্য সমস্ত দিয়াছ, তাই তো দেশের খেয়াতরী তোমাকে বহিতে পারে না, সাঁতার দিয়া তোমাকে পদ্মা পার হইতে হয়। তাই তো দেশের রাজপথ তোমার কাছে রুদ্ধ। দুর্গম পাহাড়–পর্বত তোমাকে ডিঙাইয়া চলিতে হয়;—কোন্ বিস্মৃত অতীতে তোমারই জন্য তো প্রথম শৃঙ্খল রচিত হইয়াছিল, কারাগার তো শুধু তোমাকে মনে করিয়াই প্রথম নির্মিত হইয়াছিল,—সেই তো তোমার গৌরব! তোমাকে অবহেলা করিবে সাধ্য কার!"
লহ প্রণাম হে মহামানব।
Your email address will not be published. Required fields are marked *